সালেহ্ বিপ্লব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার হার বাড়াতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বুধবার সকালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বলেন, আমাদের শিক্ষার হার বর্তমানের ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে আরো বাড়াতে হবে। বাসস

প্রধানমন্ত্রী  তার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কম্পিউটারের বোতাম চেপে ২০২২ সালের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সম্মিলিত ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এরপর একে একে  ৯টি সাধারণ বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেরচেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর আমরা শিক্ষার হার ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করলেও বিগত বিএনপি সরকারের সময় এ হার কমে ৪৪ শতাংশে নেমে আসে। আমরা আবার সেই হারকে বাড়িয়ে ৭৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করেছি।  তিনি বলেন, আমি দেখলাম পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। এর মানে, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন তার সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চাই। সেক্ষেত্রে আমাদের আজকের ছেলে-মেয়েরাইতো সোনার মানুষ। 

তিনি বলেন, বোর্ড পরীক্ষার পর অবসর সময়ে শিক্ষার্থীদের বুনিয়াদি ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। যাতে তারা নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে। তাহলে তারা দেশ-বিদেশে চাকরি পেতে সুবিধা পাবে। 

সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে দিয়েছি। শিক্ষকদের সরকারি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।

মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা যাতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ বা তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে; সেই সুযোগ সৃষ্টি এবং তাদের উৎসাহিত করা দরকার। তাতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ